অনেকেই Varicocele ভেরিকোসিলকে পুরুষদের অন্ডকোষের শুক্রনালীর শিরা-ঘটিত রোগ বলে অবহিত করে থাকেন। এটি কারো বাম পাশে কারো ডান পাশে আবার কারো উভয় পাশে (Bilateral Varicocele) হয়ে থাকে। সাধারণত কিছু কিছু পুরুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে কাউকে বলতে চান না এমনকি চিকিৎসাও নিতে চাননা। অথচ এর ভালো চিকিৎসা রয়েছে। স্পার্মাটিক কর্ডের মাধ্যমে রক্ত অণ্ডকোষে প্রবাহিত হয়ে যায়। ঠিক কি কারণে ভ্যারিকোসিল হয় তা নিশ্চিত নয়। যখন কর্ডের ভিতরের ভাল্ভ সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয় তখন ভ্যারিকোসিল সৃষ্টি হয়। এর কারণে শিরাগুলো প্রসারিত হয়ে অণ্ডকোষের ক্ষতি করে। বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত ভ্যারিকোসিল বেশি হতে দেখা যায়।

রপোর্ট করেও কোন রেজাল্ট পাননা।

এটি সাধারণত বামদিকে বেশি হয়, তবে ডান দিকেও হয়ে থাকে। তবে যেকোনো একটি অণ্ডকোষের ভ্যারিকোসিল উভয় অণ্ডকোষের শুক্রাণু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে যা এক সময় পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। অনেক ক্রনিক রোগের মত এই সমস্যারও মূলত কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। ভেরিকোসিল রোগের একমাত্র ভালো চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।

 

ভেরিকোসিল রোগের কারন

  • যক্ষা বা টিবি রোগ
  • মাম্পস
  • আঘাত পাওয়া
  • কিছু এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • যৌন উত্তেজক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • তীব্র হস্তমৈথন আসক্তি এবং এক সময় হঠাৎ ছেড়ে দেয়া
  • ভারী জিনিস উত্তোলন
  • দীর্ঘদিন যাবৎ ক্রমাগত দাঁড়িয়ে কাজ করা
  • দীর্ঘদিন যাবৎ ক্রমাগত গরম পরিবেশে কাজ করা
  • এছড়াও আরো নানা কারণে ভেরিকোসিল হতে পারে

ভেরিকোসিল রোগের উপসর্গ

  • বাম দিকে বেশি হয় এবং ডান দিকে কম হয়
  • টেস্টিসের উপরের শিরাগুলিতে টক্সিক ব্লাড জমে শিরাগুলি ফুলে যায়,
  • টেস্টিসের উপরের শিরাগুলিতে টক্সিক ব্লাড জমে কাল হয়ে যায়, পেঁচিয়ে যায়
  • স্পার্মাটিক কর্ডে ব্যথা হয় এবং কেচুর মতো ফুলে যায়
  • অন্ডকোষে ব্যথা হয়
  • অন্ডকোষ ঝুলে যায়
  • অণ্ডথলিতে চাকা বা পিণ্ড
  • কুঁচকিতে ব্যথা
  • অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া
  • বন্ধ্যাত্ব
  • তলপেটে ব্যথা
  • অনৈচ্ছিক মূত্রত্যাগ
  • পুরুষত্বহীনতা
  • পুরুষাঙ্গে ব্যথা হওয়া
  • পায়ুপথে ব্যথা হওয়া
  • পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বাঁকা হয়ে থাকে

 

  • হারবাল– বলতে গেলে একটি উত্তম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। যদিও ক্রনিক অবস্থায় ভেরিকোসিল স্থায়ীভাবে ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগে।
  • সার্জারী – তবে সার্জারী করলে পুনরায় হওয়ার সম্ভবনা থাকে ৯৮% . হয় কয়েক মাসের মধ্যে আবার হবে অথবা কয়েক বছরের মধ্যে আবার হবে। আর যখন পুনরায় হয় তখন দ্বিগুন লক্ষণ নিয়ে শুরু হয়। তখন সমস্যাটি আরো জটিল আকার ধারণ করে। কারণ ভেরিকোসিল সার্জারি করা মানে হলো যে শিরাগুলি ফোলা সেগুলি ব্লক করে দেয়া যেটি এই রোগের কোন সুচিকিৎসা নয়। বিশেষ করে যুবকদের জন্য ভেরিকোসিল সার্জারি মানে হলো – সারা জীবনের জন্য মহা দুর্ভোগ বয়ে আনা।
  • call 01919878722